নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারাদেশে ৩০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর, রবিবার থেকে ২৭৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে টিসিবি। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
এছাড়া চিনি, মশুর ডাল ও সয়াবিন তেলও ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি হবে। গত (১১ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার টিসিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জাননো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিকেজি চিনি ও মশুর ডাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। আর একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ কেজি করে সেগুলো কিনতে পারবেন। এছাড়া প্রতিলিটার সয়াবিন তেল ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে একজন ভোক্তা দুই লিটার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ লিটার পর্যন্ত এই তেল ক্রয় করতে পারবেন।
এ বিষয়ে টিসিবি জানায়, বর্তমান করোনা ও বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। সেক্ষেত্রে ঢাকায় ৪০টি ট্রাক, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুর ৭টি, ময়মনসিংহে ৫টি, রাজশাহীতে ৫টি, খুলনায় ৫টি, বরিশালে ৫টি, সিলেটে ৫টি, বগুড়ায় ৫টি, কুমিল্লায় ৫টি, ঝিনাইদহে ৩টি ও মাদারীপুরে ৩টি ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। এছাড়া অবশিষ্ট জেলা ও উপজেলাগুলোতে ২টি করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হবে। এছাড়াও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাভুক্ত উপজেলায় অতিরিক্ত ৫টি ট্রাকে ও বন্যাকবলিত জেলা ও উপজেলায় পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩টি ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রি করবে বলেও জানান তারা।
সংস্থাটি আরো জানায়, এই বিক্রি কার্যক্রম শুক্রবার ও শনিবার বাদে ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। এছাড়াও প্রতিটি ট্রাকে চিনি ৫০০-৭০০ কেজি বরাদ্দ থাকবে। সঙ্গে মশুর ডাল ৪০০-৬০০ কেজি, সয়াবিন তেল ৭০০ থেকে এক হাজার লিটাল ও পেঁয়াজ ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ কেজি বরাদ্দ থাকবে।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজের দাম বাজারে একটু বেড়েছে। বন্যার কারণে বাজারে সরবরাহে সমস্যা হয়েছে। আমরা দাম কমাতে চেষ্টা করছি। আগামী ১৩ তারিখ থেকে ন্যায্যমূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে টিসিবি। এ ছাড়া এবার আমরা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করব। আমরা ফুল মনিটর করছি। তিনি আরও বলেন যে এবার টিসিবি বৃহত পরিসরে মাঠে নামবে।